বাফুফে নারী ফুটবল একাডেমির সব খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছুটিতে যাওয়ার আগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রূপায়ন গ্রুপের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিলো সাফজয়ী মেয়েদের। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে দেশে ফেরার পর থেকে একের পর এক সংবপ্ররধনায় সিক্ত হচ্ছেন সাবিনারা। তারি ধারাবাহিকতায় ছুটিতে যাওয়ার আগে এটিই ছিলো শেষ সংবর্ধনা। রূপায়ন গ্রুপের পক্ষ থেকে নারী ফুটবল দলকে ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হয়।
রূপায়ন গ্রুপের দেওয়া ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান, ফুটবলের উন্নয়নে ডিপিপি চালু হলে বাফুফে ভবনের নারী একাডেমির সব খরচ বহন করবে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে ডিপিপি প্রস্তুত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারব।
ফিফা বা এএফসি থেকে বাফুফে যে বিভিন্ন ধরণের ফান্ড পায় বা স্পনসরের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালায়। এর পাশাপাশি সরকারিভাবে আমরা আর্থিকভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এই একাডেমিগুলো চালানোর ব্যাপারেও সাহায্য করতে পারবো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফজয়ী ফুটবলার মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আমাদের যে এত ভালোবাসা আর সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে এটা আমাদের খেলার প্রতি আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে। আমরা আরও বেশি উৎসাহ পাব ভালো খেলা উপহার দেওয়ার। আমরা চেষ্টা করব ভালো খেলে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার।’
রূপায়ন গ্রুপের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলের অন্য সবাই থাকলেও উপস্থিত থাকতে পারেননি দলের পাঁচ পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মোগিনী আর আনুচিং মোগিনী। তারা গতকালই ছুটি পেয়ে ফিরেছেন নিজেদের বাড়িতে। আর সাফ জয় করে ঢাকায় ফেরার পর আজ ছুটিতে নিজ বাড়িতে যাবেন ক্যাম্পে থাকা অন্য ফুটবলাররা।