জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট উন্নয়ন সূচকে আট ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
সূচকে দেখা যায়, ২০২০ সালে ১১৯ ও ২০১৮ সালে ছিল ১১৫তম। যে তথ্যানুসারে এ বছর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
এতে ইজিডিআইয়ে স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য দশমিক ৫৬৩০। এরপর ভুটান শূন্য দশমিক ৫৫২১, রুয়ান্ডা শূন্য দশমিক ৫৪৮৯, নেপাল শূন্য দশমিক ৫১১৭ এবং কম্বোডিয়া শূন্য দশমিক ৫০৫৬ স্কোর পেয়েছে।
অন্যদিকে ২০২০ সালের চেয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে শূন্য দশমিক ৫২২৭ স্কোর নিয়ে ই-পার্টিসিপেশন বা ইপিআইতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫তম স্থান। তবে ইপিআইতে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে শূন্য দশমিক ৫৭১৪ স্কোর নিয়ে আরও ভালো ৫১তম অবস্থানে ছিল।
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সূচক অনলাইনে ই-পার্টিসিপেশন, অনলাইনে সেবা প্রদান, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং মানবসম্পদকে মূল্যায়ন করে দেওয়া হয়। ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (ইউএনডিইএসএ) প্রতি দুই বছর অন্তর এই সূচক প্রকাশ করে। এবারেরটি ছিল ১২তম। অনলাইন সেবা প্রদানে বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৬৫২১, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোয় শূন্য দশমিক ৪৪৬৯ ও মানবসম্পদে শূন্য দশমিক ৫৯০০ স্কোর পেয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ই-পার্টিসিপেশন টুলের মাধ্যমে সারাদেশ, পৌরসভা ও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার পর্যায়ে যোগাযোগ এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নয়নে কাজ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি করেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ফোনে আর্থিক পরিষেবার (এমএফএস) মাধ্যমে সারাদেশের ১০ কোটির বেশি গ্রামীণ নাগরিকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ।