Home » আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন বাংলাদেশের

আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন বাংলাদেশের

0 মন্তব্য 313 ভিউজ

বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিবছর গড়ে আকর্ষণীয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় বৈশ্বিকভাবে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ খাতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। বেসরকারি খাতে ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪০০ কোটি ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

শনিবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, বেসরকারি খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। অনেক দেশ থেকে এ খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভালো। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪০০ কোটি ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

শনিবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, বেসরকারি খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। অনেক দেশ থেকে এ খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভালো। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৪০০ কোটি ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরের মধ্যে শুধু করোনার দুই বছর ছাড়া বাকি সময়ে গড়ে ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। করোনার কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে ৩ শতাংশ এবং পরের বছর প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব পরিস্থিতি যখন টালমাটাল তখনও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। এতে আরও বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য কারণে বিপর্যয়কর পরিবেশের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন। এদের রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় উপকূলে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। উপকূলীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো। একই সঙ্গে আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষকে বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে দুর্যোগ প্রতিরোধে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করার ব্যবস্থা রেখেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্রুত লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। উপকূলীয় এলাকার ৬ হাজার কিলোমিটার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকা উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করছে। এ সহায়তার অংশ হিসাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১২ লাখ মানুষকে রক্ষা করতে এক হাজারের বেশি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ৫৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্রের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগের বাতাস সহ্য করতে পারবে।

২০২০ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৮-সদস্যের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের সভাপতি হিসাবে চমৎকার কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি টেকসই এবং স্থিতিশীল পথ তৈরি করতে সহায়তা করছে।

এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাও চালু করেছে। এতে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ত্বরান্বিত হওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি শক্তিশালী হবে।

বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর সদস্য দেশগুলোতে শর্ত বাস্তবায়ন সাপেক্ষে তাদের সহযোগী সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে ঋণ দিয়ে থাকে। গত অর্থবছরের জন্য আইডিএ ঋণ অনুমোদনের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে। প্রতিশ্রুতি ছিল ২১৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। প্রতিশ্রুতির দিক থেকে শীর্ষে ছিল নাইজেরিয়ার ২৪০ কোটি ডলার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল কঙ্গো ২১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চতুর্থ ছিল ইথিওপিয়া ১৯০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.