চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান উন্নয়ন সহযোগী বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান, মিয়ানমার সীমান্তসহ সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সমাধানের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। আর এ সংঙ্কট সমাধানে চীনের মধ্যস্থতায় সমাধানের কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ নিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র মধ্যস্থতা কামনা করে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১ অক্টোবর) রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এ সহযোগিতা চাওয়া হয়।
চিঠিতে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে থাকা চলমান সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। মূল্যবোধ, অভিন্নতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনকে সত্যিকারের বন্ধু এবং বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন উপায় নিয়ে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, এটি অত্যন্ত সন্তোষজনক যে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছে। চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান উন্নয়ন সহযোগী। করোনা সংকটের সময় সিনোফার্ম ভ্যাকসিন সময় মতো সরবরাহের জন্য চীনের প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও সুসংহত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।