সুনশান প্রবাহিত হচ্ছে গাড়–দহ নদী। নদীর জলে শুয়ে আছে একটি সাঁকোর ছায়া। ওপর দিয়ে খুব সাবধানে পার হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তার দুপাশে বাস করেন ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। তাদের প্রাণের দাবি একটি সেতু।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল মেহমানশাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গাড়–দহ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার মেহমানশাহী পশ্চিমপাড়া বটতলা কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় সেতু নির্মাণের দাবিতে নদী পাড়ের শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
ধুবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী রুবিয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জামাল উদ্দিনের পত্মী রাবেয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন্দ্র নাথ বর্মণ, ধুবিল মেহমানশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল আলম, ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বহুল প্রত্যাশিত গাড়–দহ নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে দুই পাড়ের ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভ্গোন্তি দূর হবে।
তারা বলেন, এ নদীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে ভোটকেন্দ্র ও মেহমানশাহী হাইস্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, তহশীল অফিস, গোপালজিউর মন্দির, শ্মশান ঘাট ও খেলার মাঠ। পশ্চিম পাড়ে রয়েছে মেহমানশাহী পশ্চিম পাড়া বটতলা কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব ও ঈদগাহ মাঠ। এছাড়া নদীর উভয় পাড়ে রয়েছে সরকার নির্মিত দুটি মুক্তিযোদ্ধা ভবন। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোই ভরসা। অথচ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মরদেহ নিয়ে দাফন বা দাহ করার জন্য কবরস্থান ও শ্মশানঘাটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাওয়া যায় না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এলাকাবাসীর প্রাণের এ দাবি পূরণ হয়নি।
প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই চলাচল করছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।
ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল বলেন, তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানিয়েছেন। ওখানে একটি সেতু নির্মাণ করবেন বলে এমপি মহোদয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, এলাকাবাসীর এ দাবি অনেক দিনের। এলজিইডির পিডি স্যার সরেজমিন প্রদর্শন করেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দিলেই কাজের ধারাবাহিকতা শুরু হবে।