আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রায় ৬ কোটি ভোটারের ১০ আঙুলের ছাপ নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ৫ কোটির মতো ভোটারের ১০ আঙুলের ছাপ নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ভোটার ১১ কোটি ৩২ লাখ। বাকি ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদানে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আমরা ভোটারদের বর্তমানে চার আঙুলের ছাপের পরিবর্তে ১০ আঙুলের ছাপ নিতে যাচ্ছি। যাদের স্মার্টকার্ড দিয়েছি তাদের সবারই ১০ আঙুলে ছাপ নেওয়া হয়েছে। বাকি যারা স্মার্টকার্ড নেবেন তাদেরও ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যাতে সবার ১০ আঙুলের ছাপ নিতে পারি। তখন আঙুলের ছাপ না মেলার এই সমস্যাটা আর থাকবে না। কারণ এই ১০ আঙুলের কোনো না কোনো আঙুলের মাধ্যমেই আমরা ভোটার চিহ্নিত করতে পারব।
সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নানা অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলার ক্ষেত্রে এক কেন্দ্রে ১ শতাংশ ভোটারের ভোটদানের সুযোগের বিধানটি আইনের কাঠামোয় রূপ দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) প্রয়োজনীয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এই সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
দুই-এক দিনের মধ্যে এই প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের একটি সংশোধনী আগেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তার সঙ্গে নতুন এই অংশটুকু যুক্ত হবে। আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
কমিশনার জানান, যাদের হাতের আঙুলের ছাপ মেলে না তাদের তো ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে যাতে কনফিউশন না হয়, যার কারণে আইনের কাঠামোয় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেব। বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিওতে) যুক্ত হচ্ছে।