উত্তর-পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে অবৈধ ভাবে আটকে রেখে নিয়মিত অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বহু বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনা হয়েছে। এবার চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিতর্কসভার আয়োজন করতে চায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত কাউন্সিল। সেজন্য একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) এই ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেন এই খসড়া প্রস্তাবটি তৈরি করে। তুরস্কের মতো কয়েকটি দেশ এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল
কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট ৪৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৭টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবে সায় দিলেও ভেটো দেয় ১৯টি দেশ। যাদের মধ্যে চীন অন্যতম। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ১১টি দেশ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো ও ইউক্রেন।
বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, সব ধরনের মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারত মনে করে কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা ঠিক নয়। এর জন্য দরকার নিরন্তর সদর্থক আলোচনা। শিনজিয়াংয়ের উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা দেখা উচিত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেন তারা।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জে খসড়া প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন চীনের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান সোফি রিচার্ডসন।