দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানে বিশেষ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহের এ কর্মসূচিতে প্রায় এক কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, দেশের ৪২৭টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানো হয়েছে, এখন তারা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।
শামসুল হক বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টিকা পাওয়ার যোগ্য ৯৮ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর তথ্য দিয়েছিল। তবে বাস্তবে আরও বেশি হবে সংখ্যাটি। কারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, যেসব শিশু বিদ্যালয়ে আসে না, ভাসমান শিশুদের সংখ্যাটিও যোগ হবে। সে হিসাবে এক কোটির বেশি শিশু এই টিকা পাবে।
তিনি বলেন, দেশে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা। প্রথম ডোজ নেয়ার আট সপ্তাহ পর নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।
এর আগে গত ১১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেরে বাংলা নগরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া হয়। এরপর থেকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেয়া হচ্ছিল এই টিকা।
বড়দের মতো শিশুদেরও এ টিকা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। টিকা কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গেলেই দেয়া হবে টিকা।