কৃষি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় অবদানে ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৫ ও ১৪২৬ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন।
ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়ের সূচনা করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়া হয় এবং এ কৃষি পুরস্কার কার্যক্রমও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার ২১ বছর পর দায়িত্ব নিয়ে এ পুরস্কারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন, ২০০৯’ এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হবে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।