চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ বুধবার পর্যন্ত টানা ২৩১ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত জি-৭ দেশগুলো বলেছে, যতদিন দরকার, ততদিন তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
জরুরি একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা বলেছে, ইউক্রেনের জন্য তারা সামরিক, কূটনৈতিক আর মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে। পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোও জানিয়েছে, যতদিন প্রয়োজন, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
গত সোমবার রাজধানী কিয়েভ ও পুরো ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। মঙ্গলবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার পাল্টা জবাব হিসবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
জি-৭ এর বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি। সেইসঙ্গে বেলারুশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি।
তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষনিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে।