হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে শেষটাও হার দিয়ে শেষ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হারে সাকিব আল হাসানের দল। বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এতে শূন্য হাতেই টাইগারদের যেতে হচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চে।
পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৭৪ রান। শুরুতে তাসকিন-হাসানের আঁটসাঁট বোলিংয়ে কিছুটা চাপে ছিল পাকিস্তান। তবে সময় যেতেই আগ্রাসী হয়ে উঠেন পাক দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতেই শতরান তোলে পাকিস্তান। টাইগার বোলাররাদের পাত্তাই দেয়নি সময়ের সেরা এই দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর হাসান মাহমুদের বলে ৫৫ রানে আউট হন বাবর আজম। একই ওভারে হায়দার আলিকেও ফেরান তিনি। ২ বল খেলে রান পাননি হায়দার।
তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান-নওয়াজের গড়া মাত্র ৩৬ বলে ৬৪ রানের জুটিতে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। ফিফটি পূরণের পর রিজওয়ান আউট হন ৬৯ রানে। ৫৬ বলে খেলা তার ইনিংসটি চারটি চারে সাজানো। পরে আসিফ আলিকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে ২০ বলে ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন নওয়াজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে এসে ইনিংসের শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন শান্ত। প্রথম রানের জন্য খেলেন ৯ বল। বেশিক্ষণ টিকতেও পারেননি তিনি। ষষ্ঠ ওভারে ওয়াসিমের বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন নাজমুল। ১৫ বলে ১২ রানে ফিরেন এই ওপেনার। এর আগে দলকে হতাশ করে ৪ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলনেতা সাকিবকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করেন ওপেনার লিটন। এ সময় দুজন মিলে মাত্র ৫৫ বলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দল। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৬৯ রানে আউট হয়েছেন লিটন। মাত্র ৪২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ছয়টি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
লিটনের দেখানো পথে হাঁটেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৭০ রান। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও তুললেন টানা আরেকটি ফিফটি। আন্তর্জাতিক টি২০তে সাকিবের ক্যারিয়ারে এটি ১২তম ফিফটি। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় সাকিব ফিরেন ৬৮ রান করে। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে সাজানো ছিল সাকিবের এই ইনিংস।
এছাড়া ১ রানে ইয়াসির আরি রাব্বি, ১১ রানে আফিফ হোসেন আউট হন। আর ২ রানে সোহান ও ১ রানে সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। আর একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ।