গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট বন্ধ করা কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা তিনটি কেন্দ্রে দেখতে পাই ভোটকক্ষে প্রার্থীর পুরুষ এজেন্টরা একই রকম গেঞ্জি বুকে ও পিঠে প্রার্থীর মার্কা ইত্যাদি প্রিন্ট করা পরে আছেন এবং নারী এজেন্টরা একই রকম শাড়ি পরা যা আচরণ বিধিমালার ১০ (ঙ) ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। এসব এজেন্ট ছাড়াও আরো অনেক অবৈধ লোকজন ভোটকক্ষে অবস্থান করে ভোটারদের ভোট দিতে প্রভাবিত করছেন।
সিইসি বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনটি যেন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করণীয় যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর যতগুলো নির্বাচন করেছি সবগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম। ইভিএমের বিষয়ে যে গোপন ভোটকক্ষে অবৈধ লোক প্রবেশ করে বা অবস্থান করে ভোটারকে ব্যালট ইউনিটে ভোট দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে অবৈধ প্রবেশকারী তার আঙ্গুল দিয়ে ভোট দিয়ে দেন সে সংক্রান্ত যে অভিযোগ আমরা পেয়েছি বিভিন্ন রাজানৈতিক দল ও সূধী সমাজের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তা বন্ধ করার জন্য।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের গুরুত্বের কারণে এখানেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। গতকাল সকাল আটটায় যথারীতি ভোট শুরু হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, আগারগাঁওয়ে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে আমিসহ অন্যান্য কমিশনাররা, দায়িত্ব পালনকারী সচিবালয়ের কর্মকর্তারা ও কারিগরি সহায়তাকারী ও মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ভোটারদের কন্টোল ইউনিটে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার পরপরই এজেন্টলা গোপন ভোটকক্ষে প্রবেশ করে ভোটারকে ভোট দিতে সুযোগ না দিয়ে নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ একই কাজ করছেন। তখন কমিশন থেকে ফোন দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের ভোট কক্ষের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়।