Home » নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে এক পা ডাচদের

নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে এক পা ডাচদের

0 মন্তব্য 244 ভিউজ

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিলো নামিবিয়া। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই নেদারল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে মুদ্রার উল্টাপিঠও দেখে ফেললো তারা। নামিবিয়াকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভেও এক পা দিয়েই রাখলো নেদারল্যান্ড। ডাচরা সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেই নামিবিয়াকে ফেলে দিলো শঙ্কায়।

শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর সুপার টুয়েলভে যাওয়ার জন্য বেশ আশাবাদী ছিলো নামিবিয়া। তব নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে সুপার টুয়েলভে ওঠার লড়াইয়ে পিছিয়েই পড়লো আইসিসির সহযোগী দেশটি।

জিলংয়ের কার্ডিনিয়া পার্কে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। আজ অবশ্য ব্যাটিংইয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি নামিবিয়ার ব্যাটাররা। নেদারল্যান্ডের আটসাট বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রান তোলে নামিবিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ড।

আগের ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করেই এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলো নামিবিয়া। আজও টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস।

ব্যাটিংয়ে নেমে আজ অবশ্য শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি নামিবিয়া। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানের মাথাতেই ফিরে যান নামিবিয়ার ওপেনার ডিভান লা কুক। টিম প্রিঙ্গলের বলে শূন্য রানেই তিনি বাস ডি লিডের হাতে ক্যাচ দেন কুক।

শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য কিছুটা সামলে নিয়েছিলেন মাইকেল ফন লিঙ্গেন আর স্টেফান বার্ড মিলে। তবে তারাও বেশিদূর টানতে পারেননি দলকে। ২৬ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার লিঙ্গেন। ৩ চারের সাহায্যে ১৯ বলে ২০ রান করেন তিনি।

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে শূন্য হাতে ফেরেন ইয়ান নিকোললফটি ইটন। পাওয়ার প্লে শেষে ৩ উইকেটে ৩৩ রান তোলে নামিবিয়া।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আর বার্ড। দুজন মিলে গড়েন ৩১ রানের জুটি। দলীয় ৬৩ রানে ফন ডার মারউইয়ের বলে ২২ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন বার্ড।

উইকেট হারানোর সঙ্গে নামিবিয়ার রান তোলার গতিও ছিলো অনেকটা ধীর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এরাসমাসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আগের ম্যাচের নায়ক ফ্রাইলিঙ্ক। তবে ১৯তম ওভারে ১০৪ রানে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকেও। ৪৮ বলে ৪৩২ রান করে ফেরেন ফ্রাইলিঙ্ক। ১ রান বাদেই ১৮ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান এরাসমাসও।

শেষ ওভারে ডেভিড উইজ আর জেজে স্মিট মিলে ১২ রান তুললে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নামিবিয়া। নেদারল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট নেন বাস ডি লিড।

১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ডাচদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ আর বিক্রমজিত সিং। দুজন মিলে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই তুলে ফেলেন ৫১ রান।

নবম ওভারে গিয়ে ৫৯ রানে ভাঙে ডাচদের উদ্বোধনী জুটি। বার্নার্ড স্কল্টজের বলে নিকোল লফটি ইটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩১ বলে ৩৯ রান করে ফিরে যান বিক্রমজিত।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও বাস ডি লিডের সঙ্গে মিলে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন দাউদ। তবে দলীয় ৯২ রানে গিয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৩৫ বল খেলে করেন ৩৫ রান।

দুই ওপেনার ভালো শুরুর পরও হঠাৎ করেই চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ড। ২ উইকেটেই দলীয় শতরান পার হলেও পরপর দুই ওভারে ২ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাচরা। ১০২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ড।

সেখান থেকে অবশ্য আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি ক্রিজের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বাস ডি লিড। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে টিম প্রিঙ্গলকে নিয়ে শেষ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠে ছাড়েন এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে ২ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৩০ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ডি লিড। নামিবিয়ার হয়ে ২ উইকেট নেন জেজে স্মিট।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: 

নামিবিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৬ (ফন লিনগেন ২০, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৩; ডি লিড ৩-০-১৮-২, ফন গুগটেন ৩-০-২৯-০, ফন ডার মারউই ১-০-৬-১)

নেদারল্যান্ডস: ১৯.৩ ওভারে ১২২/৫ (ও’দাউদ ৩৫, বিক্রমজিত ৩৯, ডে লেডে ৩০*, স্মিট ৪-০-২৪-২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-১-১৬-১)

ফলাফল: নেদারল্যান্ডস ৫ উইকেটে জয়ী।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.