জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিনে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ৫ হাজার ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ ও ৩০০টি ‘শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচার’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবসের’ অনুষ্ঠানে তিনি উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
প্রত্যেক শিশুর জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এবার ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব এবং ৩০০ স্কুল অফ ফিউচার উদ্বোধন করা হল। এর আগে আরও ৮ হাজার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব করা হয়েছে।
“সারা বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। শিশুদের যে মেধা সে মেধা বিকাশের যেন সুযোগ হয়, শিক্ষা দীক্ষায় তারা উন্নত হবে, প্রগতির সাথে এগিয়ে যাবে, প্রযুক্তি শিক্ষা নেবে, বিজ্ঞান শিক্ষা নেবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল পদকও বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কর্ণধার। আজকের শিশুরাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে; কোনো মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয়, কোনো শিশু যেন নির্যাতিত না হয়; প্রত্যেকেই যেন সুন্দর জীবন পায় সেটাই আমরা চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।
“খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, লেখাপড়া, আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষা এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা, প্রতিনিয়ত যেসব প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে সেসব পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা- সেভাবেই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের সকল শিশুর মেধা বিকাশের সুযোগ হোক সেটাই আমি চাই। আজকে রাসেল নেই, আমরা তো সবই হারিয়েছি কিন্তু বাংলাদেশটা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যায়।”
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। বেঁচে থাকলে মঙ্গলবার তার ৫৮ বছর পূর্ণ হত।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলকেও সেদিন তারা রেহাই দেয়নি।