সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস; পুলিশের হামলা, গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার অভিযোগে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ থাকায় এই বিভাগের জেলা ও মহানগরকে বিক্ষোভ কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সভায় আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন অনুমোদন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। বলা হয়- এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক এবং জনগণকে রাজনৈতিক কারণে হয়রানি ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
সভায় নেতারা বলেন, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় অনৈতিকভাবে টিকে থাকার জন্য ফের দমননীতি গ্রহণ করেছে। দলের গাজীপুর মহানগরের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোয় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
উপস্থিত ছিলেন।