নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকারকে উত্খাতের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের রায় আওয়ামী লীগ সবসময় মাথা পেতে নিয়েছে। কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকারকে উত্খাত করার সুযোগ নেই। নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ। গণমাধ্যমে গতকাল পাঠানো এক বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে সরাতে না পারলে জাতির অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষায় আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছেন। এদেশের অর্থবহ অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আর্থসামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই দেশের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো সুসংহত হয়েছে। বরং বিরোধিতার নামে বিএনপিই এদেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও ব্যর্থতা ঢাকতে আজ অনেক কথাই বলছে। এসব কথায় জনগণ কান দেয় না। জাতির অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে ছিল, আছে ও থাকবে। বরং হঠকারী রাজনীতির জন্য বিএনপির অস্তিত্ব টিকে থাকবে কিনা সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপিই হলো এদেশের অস্তিত্ব, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়। মানবতাবিরোধী অপরাধী খুনি তারেক রহমানই হলো এদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রধান প্রতিবন্ধক। তারা তাদের তথাকথিত ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনের নামে কার্যত হাওয়া ভবনের দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন, স্বেচ্ছাচারিতা এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের প্রত্যাবর্তন ঘটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নাকি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধাটা দিচ্ছে কে? বরং আমরা চাই, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার কৃত অপরাধের শাস্তি কার্যকর করা হোক। বুকে সৎ সাহস থাকলে সে দেশে ফিরে আসুক। তার জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।