র্যাব বলেছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দিল শারক্বীয়া ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পালিয়ে যাওয়া সদস্যদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বান্দরবান ও রাঙামাটিতে দুটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০ জন গ্রেপ্তার হন। তাঁদের মধ্যে সাতজন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দিল শারক্বীয়ার সদস্য। তিনজন কেএনএফের সদস্য। অভিযানের মুখে সেখান থাকা জঙ্গি ও কেএনএফের সদস্যরা অন্য এলাকায় পালিয়ে গেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তার পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘দেশীয় বিভিন্ন ব্যক্তির টাকায় নতুন এই জঙ্গি সংগঠন চলছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
র্যাব বলছে, ‘হিজরতের’ নামে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরছাড়া ব্যক্তিদের দুর্গম পাহাড়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতে কেএনএফের সঙ্গে চুক্তি করে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দিল শারক্বীয়া। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ-আশ্রয় দিয়ে আসছিল কেএনএফ।
খন্দকার আল মঈন বলেন, তাঁরা আগে ঘরছাড়া ৩৮ তরুণের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। নতুন করে আরও ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছেন।