রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। অপরদিকে সমাবেশস্থল ছাড়া নগরীর অন্যান্য এলাকা পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে ওঠায় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটতে পারে বলে দোকানপাট খুলছেন না ব্যবসায়ীরা।
গণসমাবেশের আগের দিন থেকে জেলা মোটর মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই রংপুরের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার রাতে নেতাকর্মীরা কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠেই ছিলেন। সেখানেই রান্নাবান্না তেরপল, কাগজ বিছিয়ে কিংবা চাদর গায়ে দিয়ে কিছুটা সময় ঘুম, গল্প-আড্ডা, গান ও স্লোগানে ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। আবার কাউকে কাউকে ফেসবুকে লাইভ করতেও দেখা গেছে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও যশোরে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত এবং সারা দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সব বিভাগে সমাবেশ করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে খুলনাতে শনিবার কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে গণসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, গণসমাবেশের দুদিন আগে বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা মোটর মালিক সমিতি। গতকাল শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট।