Home » নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম জয়

0 মন্তব্য 277 ভিউজ

টানা দুই ম্যাচে হারার পর পাকিস্তানের বিদায়ী এপিটাফটা লিখেই দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার–ওয়াসিম আকরামরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ বলে হারের পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অসম ম্যাচেও তাই অদৃশ্য এক চাপে ছিলেন বাবর আজমরা। সেই চাপটা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও কমিয়েছে পাকিস্তান।

সে সঙ্গে আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের নাটকীয়ও জয়ও বাবরদের জন্য লড়াইয়ের ভিতটা আরেকটু মজবুত করেছে। পার্থে দিবা–রাত্রির ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় ৬ উইকেটে। টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯১ রানে থামে নেদারল্যান্ডস।

এটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে কোনো দলের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। রান তাড়ায় ৩৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

আগে বাংলাদেশ পরে ভারত– আজ দুই প্রতিবেশির জয়ই প্রত্যাশা করে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের হেরে যাওয়া মানেই যে বাবর–রিজওয়ানদের টিকে থাকার স্বপ্নটা আরও ধূসর হয়ে যাওয়া। শেষ মুহূর্তে নো–বলের নাটকীয়তা দেখে থাকলে নিশ্চিত স্নায়ুচাপে ভুগেছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা।

মাঠে অবশ্য চাপের কোনো ছাপ ছিল পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ওপর। আগের দুই ম্যাচে কাছাকাছি গিয়ে হারের ঝাল ডাচদের ওপরই মিটিয়েছে পাকিস্তান। বিশেষ করে আগে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো নাকাল করে ছেড়েছেন শাহিন–শাদাবরা।

বল হাতে এদিন শুরু থেকেই পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। প্রথম ২ ওভারে ডাচদের সংগ্রহ ছিল ৩ রান। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টেফান মাইবুর্গকে শর্ট বলের ফাঁদে ফেলে ডাচ শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

ষষ্ঠ ওভারে হারিস রউফের বাউন্সারে মুখে আঘাত লেগে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন ডাচ ব্যাটসম্যান বাস ডি লিডি। কনকাশন সতর্কতার কারণে মাঠ ছেড়ে যান এই ব্যাটসম্যান। তাঁর জায়গায় দলে আসেন লোগান ফন বিক।

পরের ওভারে শাদাব খান এসেই প্রথম বলে ফেরান টম কুপারকে। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে এ সময় রীতিমতো হাঁসফাঁস করছিল ডাচ ব্যাটসম্যানরা। কলিন আকারম্যান ও স্কট এডওয়ার্ডস উইকেট আগলে রাখলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি একেবারেই। ১৪ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডসের রান ছিল ৩ উইকেটে ৫৯।

এরপর ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করা আকারম্যানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শাদাব। পরের ওভারে ১৫ রান করে ফেরেন এডওয়ার্ডস। পাকিস্তানি বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের মুখে ডাচদের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের রান ছিল ফোন ডিজিট। শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শাদাব, ২ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

রান তাড়ায় জয়টা যেভাবে এসেছে তা কিছুটা অস্বস্তিই বাড়াতে পারে পাকিস্তান শিবিরে। ৯২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে খেলতে হয়েছে প্রায় ১৪ ওভার। বাবর আজম (৪) অবশ্য শুরুতেই রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন। ২০ রান করে আউট হন ফখর জামানও।

শেষ দিকে দল যখন অপেক্ষায় তখন ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। লক্ষ্য ছোঁয়ার ১ রান আগে আউট হন শান মাসুদও (১২)।  ১৩ ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন শাদাব।

এই জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলে নিচের দিকে থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। ৬ দলের গ্রুপে পাকিস্তানের অবস্থান ৫ নম্বরে। আর টানা তিন হারে কোনো পয়েন্ট ছাড়া তলানিতেই থাকল নেদারল্যান্ডস।

আরও পড়ুন

মতামত দিন

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.