বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার বিকেল ৩টার দিকে নাফনদ সংলগ্ন সীমান্তে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিজিবির নির্মিত ‘সাউদান পয়েন্ট’ এর সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ফিরে যায় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি। এর আগে সকাল ৯টার দিকে দু’টি স্পিডবোটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছান।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার সমকালকে বলেন, ‘দুই দেশের বিজিবি-বিজিপির মধ্য সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সাম্প্রতিক ইস্যুসহ বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকের বিষয়ে বিকেলে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত আগস্টে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন প্রদেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণ। গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমারের ছোড়া দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। সীমান্তে গোলাগুলিতে হতাহতের ঘটনায় একাধিকবার মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর পরিস্থিতি দেখতে সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। তিনি জানান, প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।