চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। আজ বুধবার ভারতের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিবায়ক সাকিব আল হাসান।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারত সুবিধা করতে পারেনি, তারা করে মাত্র ১১ রান। তবে রোহিত শর্মার উইকেট হারানোর পর থেকে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লে শেষ করে তারা ১ উইকেটে ৩৮ রানে। আর প্রথম ৮ ওভারে ভারত করে ৫২ রান। এরপরই বাংলাদেশের বোলারদের উপর ছড়ি চালায় ভারতের ব্যাটাররা।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও লোকেশ রাহুল আর বিরাট কোহলি তুলে নেন অর্ধশতক। নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে রান করে ভারত। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে রান। আর সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে জয়ের কোনও বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানদের সামনে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। প্রথম ১৪ বলের ১০টি বলই ডট দেন দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল। তাসকিনের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সুযোগ এসেছিল রোহিতকে সাজঘরে পাঠানোর। লেংথ থেকে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বল সরাসরি গিয়েছিল ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা হাসান মাহমুদের কাছে। বল হাসানের হাতে লেগে ফসকে গেছে।
তবে তার পরের ওভারেই বল হাতে তুলে নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ককে তুলে নেন তরুণতুর্কি হাসান। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়েছিলেন রোহিত। তবে ইয়াসির আলির বিশ্বস্ত হাত ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেনি। হাসানের হাত ধরে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। রোহিত সাজঘরে ফেরেন ৮ বলে মাত্র ২ রান করে।
রোহিতকে দ্রুত হারিয়েও চাপে পড়েনি ভারত। কোহলি ও রাহুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৩৭ বলে ৬৭ রান। শরিফুলকে বেদম মেরে কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে এক ওভারে ২৪ রান তুলে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কেএল রাহুলকে বেশিক্ষণ থাকতে দিলেন না সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপজুড়েই রান পাচ্ছিলেন না রাহুল। আগের তিন ম্যাচ মিলে করেছিলেন মাত্র ২২ রান। আজ করলেন ৩২ বলে ৫০ রান। দল থেকে তাকে বাদ দেয়ার দাবিও উঠছিল। তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিলেন রাহুল।
রাহুলের পর বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদবকে তুলে নেন সাকিব। ১৬ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সূর্য। মুস্তাফিজ-হাসানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষদিকে রানের গতি কিছুটা কমে।
হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলকে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফেরান হাসান মাহমুদ আর দিনেশ কার্তিক ফেরেন রান আউট হয়ে। এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যান কোহলি। ৪৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন ১৮৪ রানের বিশাল সংগ্রহ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ২টি উইকেট গেছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে।