দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার দিনের একমাত্র ম্যাচে দুপুর ২টায় সিডনিতে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান।
আজ পাকিস্তান এবং আগামী ৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস টেম্বা বাভুমাদের হারাতে পারলে সুযোগ আসবে সাকিবদের হাতে। ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানকে হারাতে পারে তাহলেই সেমি নিশ্চিত।
সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের। বাঁচা-মরার এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া হলেও পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জায় পায় প্রোটিয়ারা। টাইগারদের ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে ভারতের বিপক্ষে জয়।
শক্তিশালী ভারতকে মাত্র ১৩৩ রানে আটকে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। দারুণ আত্মবিশ্বাসী দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, যেখানে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিতই হয়ে যাবে তাদের। যদিও কোনো কারণে প্রোটিয়ারা পরাজিত হয় সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেলেও সেমির দৌড়ে এগিয়ে থাকবে তারা।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলে সেমিফাইনালে উঠার সম্ভাবনা আর থাকবে না বাবর আজমদের। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পরাজয়ের পর জিম্বাবুয়ের কাছেও পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করতে হয় তাদের। সব মিলিয়ে বিপাকে থাকা পাকিস্তানের সামনে তাই আজ জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
দুই দলের এই লড়াইয়ে আলাদা নজর কাড়বে পেসাররা। কারণ, দুই দলে রয়েছে বিশ্বমানের পেসার যারা যে কোনো ব্যাটারের জন্যই আতঙ্ক। গতি দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে আলাদা নজর কেড়েছে প্রোটিয়া পেসার এনরিখ নর্থজে ও লুঙ্গি এনগিদি।
তাছাড়া রাবাদার মতো পেসারও নিজের দিনে ভঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। পেস বোলিংয়ের শক্তিমত্তায় পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ, নাসিম শাহর মতো গতি তারকা রয়েছে পাকিস্তান শিবিরেও। মরা-বাঁচার এই ম্যাচে পাকিস্তানের পেসাররা জ্বলে উঠতে পারলে বিপাকে পড়তে পারে প্রোটিয়া ব্যাটাররা।