আবারও একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া অন্তত একটি দূরপাল্লার এবং দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার একটিসহ মোট তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর ফলে জাপান সরকার তার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বিরল জরুরি সতর্কতা জারি করে তাদের ঘরে অবস্থান করতে বলে।
টোকিও প্রথমে বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা পরে জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘জাপানি দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করেনি, তবে জাপান সাগরের ওপর দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে’।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হতে পারে। তিনি উত্তর কোরিয়ার ‘একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের’ নিন্দা করেন এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘তাণ্ডবলীলা’ বলে অভিহিত করেন।
এদিকে সিউল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ফোনে কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন-ডং এবং মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান। এসময় উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘দুঃখজনক ও অনৈতিক’ বলে আখ্যা দেন তারা।
এর আগে গত অক্টোবর মাসের শুরুতে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া। সেসময় দেশটি তার নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলে এবং জাপানের উত্তরাঞ্চলে ট্রেন চলাচলের সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিবিসি বলছে, কেরাীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। কেবল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সাত দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। যদিও উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।