রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে আলোচনায় আসা কুখ্যাত রুশ ভাড়া করা সেনা দল ‘দ্য ওয়াগনার গ্রুপ’ প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সদর দফতর খুলেছে। তাদের সব কার্যক্রম এত দিন গোপন রাখলেও এই ভাড়া করা সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট পিটার্সবার্গে সদর দফতর খুলছে বলে জানিয়েছে। ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ওয়াগনার গ্রুপের’ নিয়ন্ত্রণকারী ইয়োজিনি প্রিবুওশন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত। সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে কাচের দেয়াল ঘেরা একটি ঝকঝকে বহুতল ভবনে নিজেদের সদর দফতর চালু করার কথা শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জানান ইয়োজিনি। সেখানে সাদা রঙের বর্ণে বড় করে ‘ওয়াগনার’ চিহ্ন রয়েছে।
ওয়াগনার সেন্টার’ নামে সদর দফতর খোলাকে ভাড়া করা সেনা দলের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা নীতিতে ‘ওয়াগনার গ্রুপের’ ভূমিকা আরও জোরদার করার জন্য ইয়োজিনি এ পদক্ষেপ নিলেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর চাপে পড়ার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রুশ জেনারেলদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে দেখা গেছে ইয়োজিনিকে। এরআগে অক্টোবর মাসে ইয়োজিনি প্রথমবারের মতো জানান, তিনিই ‘ওয়াগনারের’ প্রতিষ্ঠাতা। ‘ওয়াগনার গ্রুপের’ সদস্যদের বেশির ভাগ সাবেক রুশ সেনা।
অক্টোবরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘ওয়াগনার গ্রুপের’ বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল। ইইউর অভিযোগ, মস্কোর হয়ে এই গোষ্ঠী চোরাগোপ্তা অভিযান চালাচ্ছে। ‘ওয়াগনার’ নিয়ন্ত্রণের কারণে ইয়োজিনির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।