সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া দাগি অপরাধীদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। রিজার্ভ সেনাদের যুদ্ধে নিযুক্তির আইনে সংশোধনী আনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর জন্য সেপ্টেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে আংশিক সেনা নিযুক্তির আদেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই নির্দেশের আওতায় জরুরি অবস্থার জন্য মজুত সেনাদের মধ্য থেকে ৩ লাখ সেনাকে ডাকার নির্দেশ দেন তিনি।
পুতিনের এ ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষকে ইউক্রেনে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তলব করা হয়। মজুত সেনাদের তলবের ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতাকারী অনেক রুশ নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জরুরি অবস্থায় মজুত সেনাদের তলব করার আইন সংশোধন করেছেন। এর মাধ্যমে এইমাত্র জেল থেকে বের হওয়া গুরুতর অপরাধীদেরও জরুরি অবস্থায় মজুত সেনার তালিকায় যুক্ত করা হবে।
তবে শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নকারী বা সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত সাবেক কয়েদীরা এই আইনের আওতায় পড়বেন না। রাশিয়ার আইন অনুযায়ী, বিদেশে নিযুক্ত সেনা দলের সঙ্গে কাজ করার শর্তে কয়েদীদের মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে দেশটির বেসরকারি আধা সামরিক সংস্থা ‘ওয়াগনারের’ প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কয়েদীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে জানান, যারা তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে তাদের কাউকে আর জেলে ফিরতে হবে না। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ‘ওয়াগনার’ রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে প্রথমবারের মতো সদর দফতর খুলেছে।
পুতিন জানান, দেশের তিন লাখ জরুরি অবস্থার মজুত সেনার মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার সেনাকে ইতোমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিন মজুত সেনাদের ডেকে পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে, রুশ সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যর্থ হচ্ছেন।