ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নেই। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্থূলতার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মূলত ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ। কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এমন কিছু কারণে ডায়াবিটিস আরও জাঁকিয়ে বসে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খান। তবে পাতিলেবুর গুণেও নিয়ন্ত্রণে রাখত পারেন ডায়াবিটিস।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু শরীরের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই লেবুতে থাকা ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল শরীরের অন্দরে জন্ম নেয়া জীবাণুর বিনাশ ঘটায়। অনেকেই জানেন না, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য পাতিলেবু ওষুধের মতো কাজ করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন পাতিলেবু?
১) ডায়াবিটিস হাতের মুঠোয় রাখতে পাতিলেবু হতে পারে অন্যতম অস্ত্র। খেতে বসার আগে এক গ্লাস পানিতে পাতিলেবুর রস আর বিটনুন মিশিয়ে খেয়ে নিন। তবে এক দিন খেয়ে বন্ধ করে দিলে চলবে না। সুস্থ থাকতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের সঙ্গে পাতিলেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন। বিশেষত, মুসুর ডাল, শাকসবজি দিয়ে তৈরি তরকারির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় অনেক বিধিনিষেধ চলে আসে। ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। সন্ধের খাবার অনেকেই তাই চিনাবাদাম খান। শর্করার মাত্রা কমাতে এই বাদাম বেশ কার্যকরী। বাড়তি সুফল পেতে চিনাবাদামের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন পাতিলেবুর রস। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
৪) ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকরা রোজ সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এই সালাদে যদি দু’চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। লেবুতে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ভিটামিন ডায়াবেটিক রোগীর অন্যতম ওষুধ হতে পারে।
৫) ঘন ঘন চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? তা হলে লিকার চায়ের সঙ্গে এক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। গ্রিন টি-র সঙ্গে লেবুর রসের যুগলবন্দি ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে।