মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামীকাল রবিবার অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্ব কাপের ফাইনালে খেলবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। শিরোপা লড়াইয়ের আগে দুই ফাইনালিস্ট পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ফ্যাক্টফাইলে নজর দেয়া যাক।
পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড দুই দলই একবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে শিরোপা জিতে পাকিস্তান। লর্ডসের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।
২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরের ফাইনালিস্ট ছিলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনের কিংস্টন ওভালের ফাইনাল ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ৫ ইনিংসে ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২১১ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড়- ৫২ দশমিক ৭৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪৮ দশমিক ৫৯।
বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার স্যাম কারান। ৫ ইনিংসে ১৩৬ রানে ১০ উইকেট নেন কারান। গড়- ১৩ দশমিক ৬০ ও ইকোনমি ৭ দশমিক ২৮।
ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৬ ইনিংসে ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬০ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড়- ২৬ দশমিক ৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট ১০৯ দশমিক ৫৮।
ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী আফ্রিদি। ৬ ইনিংসে ১৪২ রানে ১০ উইকেট নেন আফ্রিদি। গড়- ১৪ দশমিক ২০ ও ইকোনমি ৬ দশমিক ১৭।
টি-টোয়েন্টিতে ২৮বার লড়াই হয়েছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের। এরমধ্যে ১৮টিতে জিতেছে ইংলিশরা। নয়টিতে জয় পাকিস্তানের। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
টি-টোয়েন্টিতে ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের প্রথম দেখা হয়। বিষ্ট্রলের ঐ ম্যাচে ১৩ বল বাকী রেখে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৪ রান করেছিলো ইংল্যান্ড।
এ বছরের ৩ অক্টোবর লাহোরে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিলো পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের মাটিতে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ লড়াই ছিলো সেটি। ৬৭ রানে ম্যাচ জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০৯ রান করেছিলো ইংলিশরা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান।