বিএনপিকে আগুন নিয়ে আর খেলতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বাম দলগুলোর সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চাও নাচে। বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গোটা ডিসেম্বর মাস আপনাদের মাঠে থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে হবে। এগুলো যাদের সৃষ্টি তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাসে খেলা হবে। ছাগল তো নাচে, সঙ্গে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চাও নাচে। বাম রাজনীতি করে, আদর্শের কথা বলে, খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে। এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে চায়। কোথায় গেল আদর্শ? ঢাল নেই তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদার। জিরো প্লাস জিরো, প্লাস জিরো সমান সমান জিরো।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জের ধরে কাদের বলেন, আমরা নাকি কাপুরুষ, সে জন্য তাদের মামলা দিচ্ছি। কাপুরুষ আওয়ামী লীগ না কি বিএনপি? কাপুরুষ হালের নেতা, হাওয়া ভবনের যুবরাজ বসে আছে টেমস নদীর পাড়ে। আর বস্তায় বস্তায় দুবাই থেকে টাকা পাঠাচ্ছে। টাকা উড়ে আকাশে-বাতাসে।
তিনি বলেন, আর আগুন নিয়ে খেলতে দেবো না। আগুন নিয়ে খেলতে এলে খেলা হবে। জনগণ মোকাবিলা করবে, প্রতিরোধ করবে।
নেতাদের নাম উল্লেখ করে কাদের বলেন, কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি এখন। নেতা আর নেতা। বিলবোর্ডের দিকে তাকাই আর ভাবি, ইনি তাহলে কে? সামনে দেখি এক রকম, বিলবোর্ডে দেখি আরেক রকম। কোনো কোনো ছবি আমার নিজেরটাও নিজে চিনি না। হায়রে বিলবোর্ড, শেখ হাসিনার ম্যাজিক; ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেটার সুফল আপনারা পাচ্ছেন। নেত্রীর নির্দেশনা আছে, আমরা সাদা-মাটা সম্মেলন করবো। জাতীয় সম্মেলনও আমরা সাদা-মাটা করবো। এই বিলবোর্ডে কত টাকা চলে যায়…দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ কমিটি হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় দেখে দেখে নিজেদের লোক পকেটে ঢুকাবেন না। এটা হবে না। যারা যোগ্য, ত্যাগী, দুঃসময়ে পার্টিতে আছে তাদের গুরুত্ব দেবেন। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। দলকে এক রাখবেন না। সুবিধাবাদী, চাঁদাবাজ, মাদকসেবী যেন এ দলের নেতা না হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন, এখন ঘুম থেকে উঠে ঢাকায় অফিসে যায়, আবার রাত ৮টার আগে ফিরে আসে। কার গুণে? ভুলে যাবেন না বরগুনাবাসী। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসের সেতু। এত যার কাছে পেয়েছেন…কুয়াকাটা পর্যন্ত কোনো ব্রেক নেই। আরও তো অনেক উন্নয়ন।