Home » ২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ: সমীক্ষা

২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ: সমীক্ষা

0 মন্তব্য 155 ভিউজ

দ্রুত বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত ও বিপুল ভোক্তা শ্রেণির কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে বাংলাদেশ; হবে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাজারও। যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) এক সমীক্ষায় বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন বেড়ে ওঠার প্রক্ষাপণের তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এজন্য দরকার হবে ৫ শতাংশ হারে হবে প্রবৃদ্ধি।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার হোটেল ওয়েস্টিনে ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ এ সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির আকার ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। গত পাঁচ বছর ধরে জিডিপিতে গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধারা বজায় রাখা বাংলাদেশের ভোক্তা শ্রেণির বড় অংশ খরচ করে পরিবারের ব্যয়ের পেছনে, যা ২০২১ সালের মোট জিডিপির ৬৯ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিসিজির আগে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসিও বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ২০৩০ সালের মধ্যে অনেক বেড়ে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে জানিয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও দ্রুত বর্ধনশীল ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডকেও বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার রূপকল্প সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

বিসিজির সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখের ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। দ্রুত বর্ধনশীল মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণিই এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। ২০২০ সালে এ বাজারের আকার ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ ভোক্তার।

প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপন্স ও থ্যাইল্যান্ডের মত অর্থনীতিকেও বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে বলে সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ: সমীক্ষা

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রবৃদ্ধিশীল বেসরকারি খাত।

গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম বিসিজি পরিচালিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরও কীভাবে দেশটির অর্থনীতি সামনে এগিয়ে যাচ্ছে এর ওপর আলোকপাত করে সম্প্রতি এ সমীক্ষা চালানো হয় বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যবসায়িক কমিউনিটি, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত সম্প্রসারণে দ্রুত বাড়তে থাকা ভোক্তা বাজার, সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে ক্রমবর্ধমান গিগ ইকোনোমি, ডিজিটাল রূপান্তর এবং সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বেগবাগ করছে।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গড়ে উঠবে।
২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ: সমীক্ষা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরতে বিসিজির এমন সমীক্ষাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক আগেই ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে। এ বিষয় এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।

“এখন আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।“

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের করপোরেট কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের কান্ট্রি হেড রিয়াজ এ চৌধুরী।

এছাড়া বিসিজির সিনিয়র পার্টনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জারিফ মুনির, প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈবাল চক্রবর্তী এবং পার্টনার তৌসিফ ইশতিয়াক উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে অপ্টিমিস্টিক আউটলুক, গিগ ইকোনমি (ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খণ্ডকালীন কাজ), ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, তরুণ ও ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা (হাই ইকোনমিক রেজিলিয়্যান্স), ডিজিটাল মাধ্যমের বহুল ব্যবহার, সরকারি উদ্যোগ এবং একটি বৃহৎ, সু-সংগঠিত বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.