লুসাইল স্টেডিয়ামে পর্তুগালের ৬-১ গোলে জয়ের রাতে সব আলো একাই কেড়ে নিলেন ফরোয়ার্ড গঞ্জালো রামোস। হয়ে গেলেন ‘হ্যাটট্রিক হিরো’। এই ম্যাচের আগে বিশ্ব ফুটবলে কজনই বা জানতেন গঞ্জালো রামোসের নাম! বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পর্তুগালের এই তরুণ তুর্কি। শুধু ফুটবলবিশ্বকেই কেন, তিনি চমকে দিয়েছেন নিজেকেও!
ম্যাচ শেষে রামোসের অকপট স্বীকারোক্তি, হ্যাটট্রিক তো বহুদূর, বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়াটাই ছিল অনেক দূরের ব্যাপার।
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে রোনালদোর বদলি হিসেবে একদম শেষ সময়ে মাঠে নামার সুযোগ হয় তার। সেটিও সব মিলিয়ে মিনিট দশেক। সেই তিনিই শেষ ষোলোয় সেরা একাদশে জায়গা পেয়ে এখন পর্তুগিজ নায়ক।
প্রথমার্ধে এক গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন এ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ১৭ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। তাকে গোল করায় জোয়াও ফেলিক্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার গোল করেন রামোস। তার ৫১ মিনিটের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২০১৬ আসরে ইউরো জেতা সান্তোসের দল। পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তরুণ রামোস। শুধু তাই নয়, ২০০২ বিশ্বকাপে জার্মানির কিংবদন্তি মিরোস্লাভ ক্লোসার পরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন।