বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হতে পেরে গর্বিত। গত বছর ১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ থেকে ইইউ আমদানি করেছে। বাংলাদেশের পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত অনেক কারখানা রয়েছে এখানে। গতকাল নারায়ণগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমি এর আগে পোশাক খাতে এত সুন্দর ব্যবস্থাপনা দেখিনি। বিশেষ করে পরিবেশ, শ্রমিকদের যত্ন ও কাজের পরিবেশ প্রশংসনীয়। এটা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।’ এ সময় তিনি কারখানাটির ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউজিবিসি), লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেট অর্জনের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কারখানা পরিদর্শনের এ আয়োজন করে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের উন্নতি, বর্তমান অবস্থান এবং পণ্যের গুণগত মানের বিষয়ে অবগত করতে এ আয়োজন করা হয়। এতে করে বাংলাদেশের পোশাকের ব্র্যান্ডিংয়েরও সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮৪টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত পোশাক কারখানা রয়েছে। একক দেশ হিসেবে যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। আরও পাঁচশোর বেশি কারখানা সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইইউ প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন সম্পর্কে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং কারখানার পরিবেশের উন্নয়ন সম্পর্কে অবগত করতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর দেশের পোশাক খাতের বর্তমান চিত্র তুলে ধরাই ছিল উদ্দেশ্য।