সোমবার দুপুরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, আগের ভূমিকম্পে ওই অঞ্চলে ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। অগভীর ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে একিনোজু শহরের চার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হানে।
এর আগে সোমবার ভোরে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তুরস্কে এখন পর্যন্ত ৯১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। আর সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩২৬ বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা। এ ছাড়া তুর্কিপন্থী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয়ার একটি অঞ্চলে কমপক্ষে ১৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
খবর অনুসারে, এর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহাণি ঘটে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এর অনুমান, ৪৭ শতাংশ সম্ভাবনা আছে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১০ হাজারে পৌঁছাবে এবং ২০ শতাংশ সম্ভাবনা আছে ১০ হাজার থেকে ১ লাখে পৌঁছাবে। ভূমিকম্প সংঘটিত অঞ্চলের ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের মডেল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এই অনুমান করেছে।
এক রিপোর্টে ইউএসজিএস বলেছে, ব্যাপক হতাহত এবং বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই অঞ্চলের বাসিন্দারা যে ধরনের বাসভবনে বসবাস করেন তার গঠন খুবই দুর্বল। এই ভূমিকম্পে তুরস্কের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে ১ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।