সমান্তরালে চারটি রেলপথ বসেছে সদ্য নির্মিত মাওয়া স্টেশনে। ব্রড গেজের রেলপথগুলোয় এখন চলছে পাথর বিছানোর কাজ। মাওয়ার স্টেশন ভবনটিও প্রায় প্রস্তুত। ছোট্ট স্টেশনটিতে দুটি প্লাটফর্ম। এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন প্লাটফর্মটি দাঁড় করানো হয়েছে পিলারের ওপর। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ‘ঝুলন্ত’ প্লাটফর্ম। কিছুদিনের মধ্যেই থামতে শুরু করবে ট্রেন। যাত্রীদের কোলাহলে মুখর হয়ে উঠবে মাওয়া স্টেশন।
শুধু মুন্সিগঞ্জের মাওয়াতেই নয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন ১৪টি স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন করা হচ্ছে পুরনো আরো ছয়টি স্টেশনের। ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
চলতি বছরের জুলাই বা আগস্টের মধ্যেই রেলপথটির ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরুর কথা গতকাল বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগুলোর সিংহভাগ কাজ শেষের দিকে। তুলনামূলক দেরিতে শুরু হওয়ায় ঢাকার গেন্ডারিয়ার দিকে কাজ কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে এ অংশে আমরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছি, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে আনা যায়।’
‘আমরা চলতি বছরের জুন বা জুলাইয়ের দিকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে আগে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করব। জুলাইয়ের শেষ দিকে বা আগস্টে যাত্রী নিয়ে ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শুরুর দিকে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিন বা চারটি স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে’—বলেন তিনি।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প তিন ভাগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ভাগ ঢাকা-মাওয়ার অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। দ্বিতীয় ভাগ মাওয়া-ভাঙ্গার অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। আর ভাঙ্গা-যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৬২ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।’