Home » সিলেটে সিটিতে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপিপন্থী সব কাউন্সিলর

সিলেটে সিটিতে প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপিপন্থী সব কাউন্সিলর

0 মন্তব্য 64 ভিউজ

নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বিএনপিপন্থী কাউন্সিলররা। দলের নিষেধাজ্ঞায় প্রথম দিকে অনেকটা দিশাহারা অবস্থায় থাকলেও এখন তাঁরা বলছেন, কাউন্সিলর পদে এলাকার মানুষ দল বিবেচনায় ভোট দেন না। নির্বাচনে প্রার্থী হতে এলাকার মানুষ চাপ দিচ্ছে। তাঁদের কথা রাখতে হবে। সিসিকের বিএনপিপন্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন নিয়ে তাঁদের এই অবস্থানের কথা জানা গেছে।

তাঁদের কয়েকজনের যুক্তি, ‘নির্বাচনের এক মাস আগে দল থেকে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া রীতিমতো অবিচার। শেষ মুহূর্তে এভাবে সরে দাঁড়ালে এলাকার মানুষের কাছে হেয়প্রতিপন্ন হতে হবে। যাঁরা এত দিন ভোট দিয়ে, ছায়া দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, পাশে থেকেছেন, তাঁদের কোন মুখে সরে যাওয়ার কথা বলব। তাঁরা তো আমাদের বেঈমান ভাববেন।’
সিসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩৬ জন। এর মধ্যে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৯ জন নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সাতজন বিএনপিপন্থী ছিলেন। তাঁদের একজন দল থেকে পদত্যাগ করেছেন, আরেকজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে দুজন বিএনপির মহানগর নেত্রী। অন্য তিনজন বিএনপি ঘরানার হলেও দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় নন।

১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সৈয়দ তৌফিকুল হাদী টানা দুইবারের নির্বাচিত। তিনি বলেন, ‘দল থেকে মানা করা হয়েছে। এলাকায় একাধিক মতবিনিময়সভা করেছি। জনগণ মানছেন না। তাঁরা বলছেন, দলের মার্কা দেখে আমরা ভোট দিইনি। শেষ পর্যন্ত কী হয় দেখি। অপেক্ষায় আছি।’ তৌফিকুল হাদী অপেক্ষায় থাকার কথা বললেও তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তাঁর ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন
সিসিকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৪ নম্বর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন যথাক্রমে বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও ফরহাদ চৌধুরী শামীম। বিএনপির মহানগর কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এই দুই নেতাও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

টানা চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের সঙ্গে এলাকার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের মাসখানেক আগে হঠাৎ দলের এমন সিদ্ধান্তে একজন কাউন্সিরের পক্ষে এলাকার ওই সব মানুষকে ত্যাগ করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে আসা খুব হৃদয়বিদারক, কষ্টকর ও বিব্রতকর। এসব মানুষকে হঠাৎ এভাবে ফেলে রেখে নির্বাচনের মাঠ ত্যাগ করা গ্রহণযোগ্য হবে না। মানুষের কাছে বেঈমান

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.