Home » যেভাবে বেঁচে ফিরেন মণিপুরের দুই নারী

যেভাবে বেঁচে ফিরেন মণিপুরের দুই নারী

0 মন্তব্য 62 ভিউজ

সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মণিপুরের দুই নারীর উপর চালানো যৌন নিপীড়নের দৃশ্য দেখে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে।

কীভাবে নিপীড়নকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন তারা? কীভাবে বেঁচে ফিরলেন?- অবশেষে এ ব্যাপারে নির্যাতিত নারীরা গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন।

সংবাদ সংস্থা ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন মণিপুরের দুই নির্যাতিতা। এক জনের বয়স ২১। তিনি কলেজছাত্রী। অন্য জনের বয়স তার দ্বিগুণ, ৪২।

এক প্রতিবেদনে আনন্দবাজার জানায়, গত ৪ মে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে যখন কুকিদের শেষ দফার দলটি গ্রাম ছাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই হামলাকারীদের মুখোমুখি পড়ে যান তারা। পুলিশ এসে সামলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছু। হামলাকারীদের আরও বড় দল এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়। তার পরেই দুঃস্বপ্নের শুরু।

২১ বছর বয়সি ওই কলেজ ছাত্রী জানিয়েছেন, পুলিশকে তাড়ানোর পরই ওই হামলাকারীরা তাদের ঘিরে ধরে নগ্ন হতে নির্দেশ দেয়। সে কথা শোনা মাত্রই তার বাবা এবং তার সদ্য দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়া ভাই তাকে বাঁচাতে এসেছিলেন।

মুহূর্তে তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। মাথায় ভারি অস্ত্রের ঘায়ে বাবা এবং ভাইয়ের মাথা চোখের সামনে ঢলে পড়তে দেখেন তিনি। সেখান থেকে তারা আর ওঠেননি।

ওই ছাত্রীকে তার পর বিবস্ত্র করে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে যথেচ্ছ যৌন হেনস্থার শিকার হন তিনি। শেষে তাদের দু’জনকেই একটি ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়ে চলে যায় হামলাকারীদের দলটি।

দুই নির্যাতিতার সারা শরীরে একটু শক্তি ছিল না। কিন্তু তার পরও হাল ছাড়েননি তারা। রাতের অন্ধকারেই লজ্জা ঢেকে তারা ফেরেন নিজেদের গ্রামে। কিন্তু সেখানেও কেউ ছিলেন না। এর পর সারারাত হেঁটে তারা পৌঁছান একটি জঙ্গলে সেখানে তাদের মতোই আরও কয়েকজন নির্যাতিতের সঙ্গে দেখা হয় তাদের।

তারাও হামলাকারীদের থেকে বাঁচতে জঙ্গলে গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ ৫ মে বেশ কয়েক ঘণ্টা হেঁটে তারা পৌঁছন এক গ্রামে। কিন্তু সেই গ্রামও ছিল জনশূন্য। এর পর আরও একদিনের হাঁটাপথ পেরিয়ে তারা পৌঁছে যান এক আদিবাসী গ্রামে। প্রায় ১২ দিন তারা ছিলেন সেখানে। ১৮ মে ওই আদিবাসী গ্রামের প্রধান তাদের পুলিশে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। যদিও তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি।

দুই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। তারা পদক্ষেপ করে ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর। তবে ততদিনে এই লজ্জা গোটা দেশের মাথা নুইয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.