বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মানুষ ও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এরপরও যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা সিইসি, কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে-নিরপেক্ষভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে করার জন্য যেসব কাজ করা দরকার আইনানুগভাবে সেসব কাজ করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা বলেছি; প্রতিশ্রুতি দিয়েছি-আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব প্রতিপালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তাদের আশ্বস্ত করেছি। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও চমৎকার নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।
ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন? আপনাদের কাছে আশঙ্কাজনক কোনো খবর আছে কি না?-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো খবর আমরা বোধ করছি না।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সহিংসতা যারা করছে-তারা বাসে, গাড়িতে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। অনেকে অ্যারেস্ট হচ্ছে। আমরা তৎপর আছি। আমাদের তৎপর থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এরপরও যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ভোটের দিনে কোনো হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি দেখছি না। এরপরও গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সব সময় তথ্য দিচ্ছে, সেই তথ্যের আলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেই ব্যবস্থা নিতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা বলেছেন সিইসি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইজিপি বলেন, উনি কী বলেছেন আমার জানা নেই। কিন্তু যেখানে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এটার বিষয়ে যদি কারও কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি পাই, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং হবে।
আইজিপি আরও বলেন, কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, ছোট নির্বাচনেও যদি কোনো আইনবহির্ভূত, বিধিবহির্ভূত যে কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়, এর জন্য পুলিশের লোক হোক বা যে কোনো লোকই হোক তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।