Home » ২০১৮ সালের রাতের ভোট প্রমাণে সাক্ষী হাজির করেন: হাইকোর্ট

২০১৮ সালের রাতের ভোট প্রমাণে সাক্ষী হাজির করেন: হাইকোর্ট

0 মন্তব্য 37 ভিউজ

২০১৮ সালের রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করতে বললেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ২০১৮ সালে রাতে ভোটের কথা বলছেন। এসব বক্তব্য রাজনৈতিক মঞ্চে দেবেন। আদালতে প্রমাণ ছাড়া কথা বলবেন না। রাতে ভোটের বিষয়ে কী কোনো মামলা হয়েছে। কোনো সাক্ষী প্রমাণ থাকলে দিন। ধারণার ওপর ভিত্তি করে কথা বলবেন না।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।

রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, রাজনৈতিক বা গণমাধ্যমের কোনো বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নিতে পারে না।

শুনানিকালে রিটের আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এসব ঘটনার সাক্ষী।

এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে। রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করেন। যেদিন ১৮ কোটি সাক্ষীকে হাজির করতে পারবেন, সেদিন পর্যন্ত আমরা আপনার রিট আবেদন স্থগিত রাখব।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ রিট আবেদনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোনো আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।

অগ্রহণযোগ্য রিট দায়ের করে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন উল্লেখ করে তারা রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দের শাস্তির আবেদন জানান।

শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। ইউনুস আলী আকন্দকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে বলেছে আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। আবেদনে আদালতের কাছে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.