বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার (১০ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়া সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে লাখ লাখ বাংলাদেশি ভোটার নির্বাচনের দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই, কিন্তু এটি দুঃখজনক যে, এই নির্বাচন এমন এক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে সকল অংশীজন প্রকৃতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং রাজনৈতিক বিরোধী (দলের) সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের কাছে ধারাবাহিকভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া।
মানবাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময়কালে ঘটে যাওয়া ভয়ভীতি দেখানোর মতো কাজ ও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে। যারা এসব সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সকলের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। কানাডা হতাশা প্রকাশ করছে, এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে ছিটকে পড়েছে যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ ছাড়া গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সাথে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে কানাডা, যা হবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একটি কার্যকর বিরোধী দল, স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা শক্তিশালী এবং সুস্থ গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে কানাডা আরও জানায়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে কানাডাও ছিল এবং আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না বলেও জানিয়েছে দেশটি।
পূর্ববর্তী পোস্ট