আর্লিং হলান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে পেছনে ফেলে ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দা বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
সোমবার রাতে লন্ডনে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে এই আর্জেন্টাইন মহাতারকার নাম ঘোষণা করা হয়।
টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন মেসি। এর আগে গত বছর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে এই পুরস্কার জয় করেছিলেন ফুটবল জাদুকর। ২০১৯ সালেও তিনি বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ফিফার ওয়েবসাইটে লাইভে বলা হয়েছে, এবার পুরস্কারটি জিততে মেসির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বাকিদের। মেসি এবং হলান্ড দুজনেই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটাভুটিতে। কিন্তু মেসি এগিয়ে গেছেন জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রথমে থেকে। মানে অধিনায়কেরা ভোট দিতে পছন্দের তালিকায় যে তিনজনকে বেছে নিয়েছেন, সেখানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার শীর্ষে ছিলেন মেসি। এমবাপ্পে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর গত মৌসুমে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিকে লিগ জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লিগ ওয়ানে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট ছিল তার। যদিও মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে গিয়েও জেতেন শিরোপা। ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতর জাতীয় দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেন মেসি। তাই এবার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি।
মেসির মতো পিএসজিকে গত মৌসুমের ফরাসি লিগ শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন এমবাপ্পেও। শেষ ২০ ম্যাচে লিগ ওয়ানে ১৭ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। মৌসুম শেষে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি লিগ ওয়ানে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি। পুরো মৌসুমেই ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
মেয়েদের ফুটবলের বর্ষসেরা হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। গত অগাস্টে প্রথমবারের মতো স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। বার্সেলোনার হয়েও গত মৌসুম দারুণ কাটে বনমাতির। লিগ শিরোপার পাশাপাশি জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। এইবারের ব্যালন দর ও উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
পূর্ববর্তী পোস্ট