আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) দশম আসর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটিই দেশের একমাত্র ধারাবাহিক টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে খেলেই কুড়ি-বিশের ক্রিকেটের প্রস্তুতি সারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট ঘিরে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহের জন্য এখানে খেলোয়াড়রা পারফর্ম করতেও আগ্রহ পান বলে জানালেন মোহাম্মদ মিঠুন।
আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহ-অধিনায়ক বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টটা তো আমাদের দেশি ক্রিকেটারদের উন্নতি করার উদ্দেশ্যে। অবশ্যই দেশি খেলোয়াড়দের সব সময় সুযোগ থাকে। কারণ, এটা আমাদের একমাত্র টুর্নামেন্টে যেটা কাভারেজ হয়। এ জন্য এটাকে আমাদের সবচেয়ে বড় মঞ্চ বলা হয়।
এখানে পারফরম্যান্স করলে আলোচনায় আসা যায়। এ জন্য সব ক্রিকেটার চেষ্টা করে যে বিপিএলে সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে যেন আলোচনায় আসতে পারে।’
এবার বিপিএল ঘিরে বেশ আলোচনা চলছে। দীর্ঘদিন পর শুরু থেকে ডিআরএস রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং বডি।
রাখা হয়েছে টেলিভিশন সম্প্রচারের উন্নত প্রযুক্তি। ধারাভাষ্য আর গ্রাফিকস কার্ডেও থাকছে বৈচিত্র্য। এসব নিয়ে কী ভাবছেন খেলোয়াড়রা? জবাবে মিঠুন বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড় হিসেবে এত পার্থক্য খুঁজি না। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি যে কিভাবে ভালো করতে পারি। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। যদি পার্থক্য বলেন, গতকাল টিম মিটিংয়ে আমি বলেছি, ডিআরএস প্রথম থেকেই থাকছে, এটা অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মতো বিষয়।’
আগামীকাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমাদের তিনটা অনুশীলন সেশন হয়েছে। সেখানে আমরা নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি যত তাড়াতাড়ি ঠিক করে নেওয়া যায়। আমাদের বিদেশিরাও যোগ দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের টিম বেশ ভারসাম্য মনে করছি। কিন্তু দিন শেষে যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, ফলাফলটা তাদের দিকেই যাবে। আমাদের লক্ষ্য ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়া। ভালো পরিকল্পনা করে কিভাবে প্রতিরোধ করতে পারি, সেদিকে আমাদের মনোযোগ।’
পূর্ববর্তী পোস্ট