Home » লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি

লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি

0 মন্তব্য 38 ভিউজ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকারের প্রথম ধাপ হিসেবে রাজধানীর লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে নতুন করে পাঁচ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ শনিবার সকালে নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে সামিল করার কথা বলেছেন। তাই দেশের প্রবেশদ্বার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর চতুর্থ মেয়াদে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্বরত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী যিনি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার হাতে দীর্ঘদিন এই মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব থাকায় তিনি সড়কে বিশৃংঙ্খলা থামিয়ে স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা উপহার দেবেন, যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করবেন এমন আশায় দেশবাসী। তাই তিনি, নতুন সরকারের পরিকল্পনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে অথবা পিপিপির অধীনে উন্নতমানের পাঁচ হাজার নতুন বাস নামানোর দাবি জানান। একই পদ্ধতিতে সারাদেশে স্মার্ট বাস সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য দাবি জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী নগরবাসী দীর্ঘ সময় ধরে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা আবর্জনায় ভরপুর পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন যাতায়াত করছে। যানজট-জনজটে আটকা পড়ে প্রতিদিন কর্মক্ষম মানুষের লাখো কোটি টাকার শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য, গণপরিবহন গুলোকে মুড়িরটিন বানিয়ে ইচ্ছে মত যাত্রী হয়রানি চলছে। ভয়াবহ বায়ু দূষণের শিকার হচ্ছে নগরবাসী। তাই ক্ষমতাসীন নতুন সরকারের চলতি মেয়াদে সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সড়কে শৃংঙ্খলা, লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন উচ্ছেদ করে উন্নত দেশের আদলে স্মার্ট, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানীতে দৈনিক চার কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হয়। এখানে বাস ব্যবসার ব্যাপক সুযোগ থাকলেও শুধুমাত্র চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে, ডেডিকেটেড বাস লেইন চালু করা গেলে, বাস সার্ভিসের মধ্যে দিয়ে নগরীর যাতায়াত ব্যবস্থা চিত্র রাতারাতি পাল্টে দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে অনেক বাস কোম্পানি একটি বাস নিয়ে রাস্তায় নেমে কেউ ৬শ’ কেউ ৮শ’ বাসের মালিক হওয়ার নজির আছে। অথচ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাস পরিচালনা করতে না পেরে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দিচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব বাসের সংখ্যা কমছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ৫০০০ নতুন বাস নামাতে আড়াই থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। সরকার চাইলে পিপিপির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মধ্যে দিয়ে এই ধরনের বাস সার্ভিস চালু করা যেতে পারে। যার মধ্যে দিয়ে রাজধানীবাসীর যাতায়াতের ভোগান্তি লাঘব করা সম্ভব। অবশ্যই সরকারকে মাথায় রাখতে হবে উন্নত দেশগুলোর বাস চলাচল।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য লুৎফুন নেসা খান এমপি, সংগঠনে সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক, মাহমুদ হাসান রাসেল, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, মনজুর হোসেন ইশা প্রমুখ।

আরও পড়ুন

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.

আমাদের সম্পর্কে

We’re a media company. We promise to tell you what’s new in the parts of modern life that matter. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Sed consequat, leo eget bibendum Aa, augue velit.