সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেট লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দেশটির ৭ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৪ এপ্রিল দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
তবে কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান যে এত শক্তি প্রয়োগ করবে সেটি বুঝতে পারেনি ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে মার্কিনিরা বলেছেন, “ইসরায়েলিরা বিষয়টি নিয়ে খুবই বাজে হিসাব করেছিল। মনে করেছিল ইরান শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে না।”
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কনস্যুলেটে হামলা চালানোর মাত্র কয়েক মিনিট আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে ইসরায়েল অবহিত করে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ক্ষিপ্ত হন।
সংবাদমাধ্যমটিকে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কনস্যুলেটে হামলা চালানোর পরিকল্পনা আরো দুই মাস আগে করা হয় এবং গত ২২ মার্চ ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা এটির অনুমোদন দেয়।
যদিও হামলার পর পরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। তবে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভাই এটির অনুমোদন দেয়।
কিন্তু কনস্যুলেটে হামলার পর ইরান পাল্টা হামলা চালাতে এত শক্তি প্রয়োগ করবে এটি ইসরায়েল একদমই বুঝতে পারেনি। তারা তাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বলেছিল, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে খুব বেশি হলে ১০টি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। এরপর গত সপ্তাহে তারা নতুন পর্যবেক্ষণে জানায়, ইরান থেকে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। কিন্তু ইরান কয়েকশ ড্রোন এবং একশরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে এটি তারা কল্পনাও করেনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট