ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভূমিকা শেষ করে সব মার্কিন সেনা নাইজার ছেড়ে চলে যাবেন। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার সাহারা মরুভূমিতে আগাদেজের কাছে তাদের ড্রোনঘাঁটি বন্ধ করতে সম্মত হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে।
নাইজার আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে রয়েছে, যেটিকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আঞ্চলিক জিহাদি তৎপরতা নিরীক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তার প্রাথমিক ঘাঁটি হিসেবে নাইজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সামরিক নেতারা গত বছর একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চেয়েছেন।
একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল কয়েক দিনের মধ্যে নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে যাবে, যাতে তাদের এক হাজারের বেশি সেনাকে সুশৃঙ্খলভাবে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবারের ঘোষণাটি ওয়াশিংটনে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ট ক্যাম্পবেল এবং নাইজারের প্রধানমন্ত্রী আলী মহামান লামিন জেইনের মধ্যে আলোচনার পর দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসনের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যারা এই পদক্ষেপকে প্রতিহত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক ঘাঁটিটি সেখানে মাত্র ছয় বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় জিহাদিদের মোকাবেলায় মার্কিন ও ফরাসি কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু গত বছর অভ্যুত্থানের পর উভয় পশ্চিমা দেশের সঙ্গে নাইজারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় এবং সামরিক নেতারা রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক চায়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েক ডজন রুশ সামরিক প্রশিক্ষক নাইজারে গেছেন।
পাশাপাশি তাঁরা তাঁদের সঙ্গে একটি অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিয়ে গেছেন।
নাইজারও স্থানীয় গণতন্ত্র থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। তারা জান্তা নেতৃত্বাধীন প্রতিবেশী দেশ বুরকিনা ফাসো ও মালির সঙ্গে শক্তিশালী আঞ্চলিক জোট চায়। এই তিন দেশ পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক সংস্থা ইকোওয়াসও ত্যাগ করেছে, যা তাদের সামরিক দখলের বিরোধিতা করেছিল। তারা ফরাসি সমর্থিত জি৫ সাহেল বাহিনীকেও ত্যাগ করে বলেছে, এটি অকার্যকর ও আফ্রিকার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করেছে।
পাশাপাশি তারা অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস নামে তাদের নিজস্ব প্রতিরক্ষা চুক্তি চালু করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট