টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত শুক্রবার হিউস্টনে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপর একদিন বিশ্রামে কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে শনিবার থেকে তাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে। বিসিবির পাঠানো আলাদা দুটি ভিডিওতে ক্রিকেটারদের জিম ও রানিং করতে দেখা গেছে। বিশ্বকাপের আগে ট্রেনার নাথান কেলির অধীনে নিজেদের ফিটনেস ঝালিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
আগামী ২১ মে তিন ম্যাচের সিরিজের ১ম ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের। ২৩ ও ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ।
এদিকে ঝড়ের কারণে সিরিজ আয়োজনে শংকার প্রসঙ্গে গোলাম নওশের প্রিন্স বললেন, ‘পিটার ডেলা পেনার স্ট্যাটাসটি দেখেছি। তিনি কেন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আমি জানি না।’ ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২১ মে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হিউস্টনের ওপর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঝড় বয়ে যাওয়ায় সে ম্যাচটি শঙ্কায় পড়েছে।’ তবে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সদস্য গোলাম নওশেরের কাছে তেমনটা একেবারেই মনে হচ্ছে না।
তিনি বরং স্বস্তির খবর দিলেন, ‘আজ (স্থানীয় সময় গতকাল সকালে) রোদ উঠেছে। যে পূর্বাভাস তাতে আগামী রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি এবার বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মুলুকে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ এর একটি জিতলে পরের পর্বে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হবে বাংলাদেশের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন সম্পর্কে বাংলাদেশের জানাশোনা বলতে মোটে দুটি টি-টোয়েন্টি। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডায় ম্যাচ দুটি খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে বর্তমান বিশ্বকাপ দলের ১০ জনের সেটাও নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই তিন ম্যাচ সিরিজের বন্দোবস্ত করে বিসিবি। ১৬০ কিলোমিটার গতির ঝোড়ো হাওয়ায় সেই প্রস্তুতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না, সেটিই দেখার। বাংলাদেশের সাবেক পেসার গোলাম নওশের প্রায় দেড় যুগ হিউস্টনে বসবাস করেন। এই সময়ে এমন তীব্র ঝড় দেখেননি। তবে বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে যে শঙ্কা নেই, সেটি নিশ্চিত করেছেন, ‘মাঠের কোনো ক্ষতি হয়নি। অস্থায়ীভাবে বসানো কাঠামোগুলো ভেঙেছে। সেগুলো ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে গেছে। যে মাঠে খেলা হবে, সেটা সমতল থেকে খানিকটা উঁচুতে, ফলে পানি জমে থাকার সুযোগ নেই।’
পূর্ববর্তী পোস্ট