ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপের মাঝেই ওয়াশিংটন ও মস্কোর যোগাযোগের চ্যানেলগুলো খোলা রয়েছে। সম্প্রতি অতিচর্চিত এ গুঞ্জন নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। খবর বিবিসি।
গতকাল সোমবার নিউইয়র্কে এক বক্তৃতায় সুলিভান বলেন, দেশের স্বার্থে ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কাদের সঙ্গে কথা বলছেন সে বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট ধারণা রাখেন।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে পারমাণবিক উত্তেজনা প্রতিরোধ সুলিভান রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে হোয়াইট হাউস।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুলিভান তার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ ও ক্রেমলিনের জৈষ্ঠ্য বৈদেশিক নীতি সহযোগী ইউরি উশাকভের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে গোপন আলোচনা করছেন।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, তারা ইউক্রেনের যুদ্ধে পারমাণবিক ঝুঁকির নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তবে সংঘাতের অবসানের বিষয়টি আলোচনায় ছিল না।
গত অক্টোবরে জ্যাক সুলিভান এনবিসিকে বলেছিলেন, যে কোনো পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়ার জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে। রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনায় এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ রয়েছে।
তবে ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, মানুষ অনেক কিছু দাবি করে। একই সময়ে ভুল খবরের জন্য ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পশ্চিমা সংবাদপত্রগুলোকে অভিযুক্ত করেন।
তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে গতকাল বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করার অধিকার রাখে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত জ্যাক সুলিভান এখনো রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তার মতে, ইউক্রেনের সংঘাত দ্বারা প্রভাবিত প্রতিটি দেশের স্বার্থে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।